ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম | NID Form 13 পূরণ করুন

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন কিন্তু নিয়ম জানেন না? কীভাবে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয় জানতে পারবেন এই পোস্টে।

NID Form 13 পূরণ করার মাধ্যমে আপনার এনআইডি কার্ডে থাকা ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। যারা স্থায়ী ঠিকানায় থাকেন না, বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন, পোস্টটি তাদের জন্য।

তো চলুন, কিভাবে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন

অনেকেই চাকরি বা কাজের জন্য তাদের স্থায়ী ঠিকানা ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস করেন। নির্বাচন শুরু হলে স্থায়ী ঠিকানায় এসে ভোট দেয়া অনেক ঝামেলা হলে যায়। তাই, অনেকেই চান তাদের এনআইডি কার্ডে থাকা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে।

কারণ, বর্তমান ঠিকানা ছাড়া অন্য জায়গায় ভোট দেয়া যায়না। অর্থাৎ, আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি এক হয়, তাহলে স্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে ভোট দিতে হবে। আপনার স্থায়ী ঠিকানা রাজশাহী, কিন্তু আপনি এখন ঢাকায় থাকেন। ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা ঢাকা না থাকলে ঢাকায় ভোট দিতে পারবেন না।

তাই, যারা তাদের বর্তমান ঠিকানায় থেকে ভোট দিতে ইচ্ছুক, তারা নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করার আবেদন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। নিচে এগুলোর একটি তালিকা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে —

• ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩
• ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
• নতুন স্থানের নাগরিকত্ব সনদপত্র
• ইউটিলিটি বিলের কপি
• Form 13 এর ২য় পৃষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান এর নাম, স্বাক্ষর, সিল এবং NID নাম্বার থাকতে হবে
• সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পিতা/মাতা/স্বামী/স্ত্রী/ভাই/বোন যে কোন একজনের NID কপি
• সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থাকা চাওয়া অন্যান্য কাগজপত্র

এই ডকুমেন্টগুলো দিয়ে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার বিস্তারিত নিয়ম নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য NID Form 13 ডাউনলোড করতে হবে। এরপর, ফরমটি প্রিন্ট করে সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। অতঃপর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আপনি যে এলাকার ভোটার হতে চাচ্ছেন বা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করে যে ঠিকানা দিতে চাচ্ছেন, সেখানের থানা/উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে।

এক থেকে দুই সপ্তাহের মাঝে ভোটার এলাকা পরিবর্তন হয়ে যাবে। এরপর, ২৩০ টাকা ফি দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু করে আপনার নতুন ঠিকানা সহ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। অতঃপর, সেটি ব্যবহার করে ভোট দিতে পারবেন।

বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন হলে আপনি যে স্থানটি বর্তমান ঠিকানা হিসেবে দিয়েছেন, সেখানের ভোটার তালিকায় আপনার নাম উঠে আসবে। এতে করে, আপনি উক্ত এলাকায় ভোট দিতে পারবেন।

NID Form 13 PDF Download

ভোটার এলাকা পরিবর্তন আবেদন করার জন্য এনআইডি ফরম ১৩ পূরণ করে জমা দিতে হয়। নিচে ভোটার এলাকা পরিবর্তন আবেদন ফরম যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সংযুক্ত ফাইলটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন। এরপর, চাহিত সকল তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন।

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম অনুসরণ করে উক্ত ফরমে চাহিত সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। ফরমটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ থানা/উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। এরপর, এক থেকে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে আবেদন অনুমোদন হওয়ার জন্য।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য কোনো ফি প্রয়োজন হয়না। তবে, ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে গেলে ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু করতে হয়। ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু করার ফি বাবদ ২৩০ টাকা জমা দিতে হয়। রি-ইস্যু আবেদন করার সময় এই ফি জমা দিতে হবে।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লেগে থাকে। ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার আবেদন ফরমে চাওয়া সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এছাড়া, প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তাহলে, ঠিকানা পরিবর্তন করার আবেদনটি দ্রুত অনুমোদিত হবে।

নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করে আপনার এনআইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে কিনা জেনে নিতে হবে। এরপর, অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু আবেদন করার মাধ্যমে নতুন ঠিকানা সহ ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

শেষ কথা

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। NID Form 13 pdf ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবেন এখান থেকেই। এরপর, ফরমটি প্রিন্ট করে সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করে নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দেয়ার মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।

এছাড়াও, ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট আইডি কার্ড সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখার মাধ্যমে এসব তথ্য জানতে পারবেন।